সুস্থ থাকার জন্য শিখে নিন কিছু প্রয়োজনীয় কিছু শারীরিক কৌশল

১) অনেক সময় গলার ভেতরে এমনজায়গায় হঠাৎ চুলকানী শুরু হয় যে,
কি করবেন দিশেহারা হয়ে পড়েন। ওই জায়গাটি চুলকেনেওয়ার কোন উপায়ও থাকে না। কিছু সময় কানে টান দিয়ে ধরে রাখুন দেখবেন চুলাকনী উধাও।

২) অনেক শব্দের মধ্যে বা ফোনে কথা স্পষ্ট শুনতে পারছেন না? কথা শোনার জন্য ডান কান ব্যবহার করুন। দ্রুত কথা শোনার জন্য ডান কান খুব ভাল কাজ করে এবং গান শোনার জন্য বাম কাজ উত্তম।

৩) বড় কাজটি সারবেন, কিন্তু আশে পাশে টয়লেট নেই? আপনার ভালবাসার মানুষের কথা ভাবুন। মস্তিষ্ক আপনাকে চাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

৪) পরের বার ডাক্তার যখন আপনার শরীরে সুঁই ফুটাবে তখন একটি কাঁশি দিন। ব্যথা কম লাগবে।

৫) বন্ধ নাক পরিষ্কার বা সাইনাসেরচাপ থেকে মুক্তি পেতে মুখের ভেতরের তালুতে জিহ্বা চেপে ধরুন। এরপর দুই ভ্রুর মাঝখানে ২০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। এভাবে কয়েক বার করুন, দেখুন কি হয়।

৬) রাতে অনেক খেয়ে ফেলেছেন এবং খাবার গলা দিয়ে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু ঘুমাতেও হবে। বাম কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। অস্বস্তি দূর হবে।

৭) কোন কিছুর ভয়ে বিচলিত? বুক ধক ধক করছে? বুড়ো আঙ্গুল নাড়তে থাকুন
এবং নাকদিয়ে পেট ভারে সজোরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। স্বাভাবিক হয়ে যাবেন।

৮) দাঁত ব্যথা? এক টুকরো বরফ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনীর মাঝামাঝি জায়গার উপর তালুতে ঘষুন। দেখুনতো ব্যথা কমলো কিনা ।

৯) কোন কারণে চোখের সামনে পুরো পৃথিবী ঘুরছে? কোন শক্ত জায়গা বা জিনিসে কান সহ মাথা চেপে ধরুন। পৃথিবী ঘোরা বন্ধ করে দেবে।




হাস্যকর ও অযৌক্তিক কিছু কুসংস্কার

হাস্যকর ও অযৌক্তিক কিছু কুসংস্কার

এই কুসংস্কারগুলো আমাদের সমাজে বহু আগে থেকেই প্রচলিত, কিন্তু এগুলোর কোন যৌক্তিক, বৈজ্ঞানিক, ধর্মীয় কোন ভিত্তি নেই । উপরন্তু ইসলাম ধর্মে এই কুসংস্কারগুলো শিরক বলে চিহ্নিত ।

০১. হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
০২. স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
০৩. খাবার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে,তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
০৪. কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
০৫. শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
০৬. পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
০৭. দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন  অন্যজনকে বলে উঠে “তোর কথা সত্য, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।”
০৮. একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না।নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
০৯. ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
১০. সকালে দোকান খোলার সময় এবং সন্ধ্যায় বাকি দেওয়া যায় না ।

* কারো নিয়ম বা অনুভূতিতে আঘাত লাগলে তার জন্য আমি দায়ী থাকবোনা ।

সুস্থ থাকার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু টিপস ও পরামর্শ [মেগা টিপস]

আমরা কে না চাই সুস্থ থাকতে । সুস্থ থাকতে হলে জেনে নিতে হবে কি কি কাজ আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে । আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কিছু ছোট-খাট কাজ আমাদের করে তুলতে পারে স্বাস্থ্যবান । তাহলে জেনে নিন -





খালি পেটে জল, আর ভরা পেটে ফল।
প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার আগে চার গ্লাস পানি পান করুন। দাঁত ব্রাশের পর ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কিছুই খাবেন না। এর পর স্বাভাবিক খাওয়া- দাওয়া করুন। দেখবেন শীতকালটা শরীরের জন্য ভালো কাটবে। এমনিতেই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা শরীরের জন্য খুব উপকারী।
চীনারা খাবারের সঙ্গে কিন্তু ঠাণ্ডা পানির বদলে গরম চা পান করে। খাওয়ার পরপরই ঠাণ্ডা পানি তৈলাক্ত খাদ্যকে কঠিন করে তোলে, পরিপাকক্রিয়াকেও করে তোলে ধীর।
প্রতিদিন রাত্রে ঘুমতে যাওয়ার
আগে যদি কষ্ট করে একটু সাবান বা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন আর তার সাথে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে পারেন এবং নিয়মিত মল ত্যাগের মাধ্যমে পাকস্থলীই পরিষ্কার রাখুন। তাহলে ব্রন নামক এই কুৎসিত রোগটি আপনার ১০০ গজ এর ভিতরে আসতে পারবে না।

মোটা মানুষ পানি খেলেও আরো মোটা হবে। এইটা ভুল । পানি খাওয়া কমিয়ে দিলে আপনার ওজন কমবে না। বরং যারা ওজন কমাতে চান, তাদের উচিত পর্যাপ্ত পানি পান করা। পানি খাওয়া কমিয়ে দিলে বরং আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। কারন, শরীরে পানির অভাব দেখা গেলে, তা আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে।
খাওয়ায় অরুচি ও ক্ষুধা মন্দা হলে ১-৩
গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচিয়ে নিন এবং তার সাথে লবন এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে ৭-৮ দিন খান।
হাসতে গিয়েও হাসতে পারছেন না?
দাঁত ব্রাশ করার সময় পেস্টের সাথে কয়েকদানা লবণ ছিটিয়ে দিন। এভাবে দিনে দুবার ব্রাশ করুন। লবণের দানা স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া প্রতিবার ব্রাশের পরে তেজপাতা দিয়ে দাঁতের উপরে ঘসলে দাঁতের দাগ দূর হয়। অথবা একটু সরিষার তেল এবং লবন মিশিয়ে দাঁতে লাগান, দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা আর মজবুত।
দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখলে আইস্ট্র্যাননামক একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এতে চোখের প্রসারণ, শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ও ঘাড় ব্যথাসহ দৃষ্টির সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রচুর ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। গাজর হলো এই ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। তাছাড়া কম্পিউটারের তীব্র আলোফোকাল বা ট্রাইফোকাল কম্পিউটার লেন্স ব্যবহার করকরশ্মি থেকে চোখের সুরক্ষায় এন্টিগ্ল্যায়ার স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন। অথবা চশমার লেন্সে এন্টি রিফুলেকটিং কোটিংয়ের ব্যবহার করতে পারেন
মধু খাওয়ায় সতর্কতা। নিন্ম লিখিত খাবারের সাথে মধু খাওয়া যাবে না।
ক) মধুর সাথে কোন গরম খাবার।
খ) সমান মাত্রায় মধু এবং ঘি।
গ) মধু ও ঘোল।
ঘ) মধু ও খিচুরী।
গোসল করার সময় বেশিক্ষণ পানিতে থাকবেন না, এতে ত্বকের ক্ষতি হয়।
ঠোটেঁ কালো ছোপ পড়লে কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ মুছবে এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ উঠে যাবে।

টমেটোর রস ও দুধ একসঙ্গ মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদে জ্বলা বাব কমে যাবে।
হাড়িঁ-বাসন ধোয়ার পরে হাত খুব রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্য বাসন মাজার পরে দুধে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে হাতে লাগান। এতে আপনার হাত মোলায়েম হবে।

কনুইতে কালো ছোপ দূর করতে লেবুর খোসায় টিনি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন। এতে দাগ চলে গিয়ে কনুই নরম হবে।
মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে।
লিগমেন্টেশন বা কালো দাগ থেকে মু্ক্তি পেতে আলু, লেবু ও শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানকার ত্বকে লাগান।
চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগান।
তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম জমে মুখ কালো দেখায়। এক্ষেত্রে ওটমিল ও
লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখবেন আধা ঘন্টা। আধা ঘন্টা পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
. যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
. পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন এ জায়গায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫ গ্রাম করে মেৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
. মুখে কোন র্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেষ্ট লাগান র্যাশের উপর। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবেনা।
পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।
মুখের তাৎক্ষনিক লাবণ্য আনতে একটা ভেষজ রুপটান আছে আধা চা চামুচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। পনের মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার মুখকে আদ্র রাখবে।
হাত পায়ের সৈন্দৌয্য অক্ষুন্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশী ফর্সা দেখাবে
মুখের বাদামী দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান, পরে ধুয়ে ফেলুন।
নিঃশ্বাসের দুগন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দুই কোয়া করে কমলালেবু খান। দুই মাস পর
এসমস্য থাকবেনা।
সমপরিমান তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত
মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে।
অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।

সূত্রঃ স্বাস্থ্যসেবা

Disqus Shortname

Pages